Walton primo H9 pro -
২০১৯ সালে ওয়ালটন Rx7 mini ফোনটি বাজারে বেশ এনে সারা ফেলেছিল । মাত্র ৮০০০
টাকায় ফোনটিতে অসাধারণ সব ফিচার দিয়েছিল । এবছরো ঠিক আরেকটি ধামাকা নিয়ে সারা ফেলেছে
ওয়াল্টন । আর ধামাকাটা হলো মাত্র ৮০০০ টাকার মধ্যে ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি রম এর
ফোন বাজারে এনেছে ওয়ালটন ।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি ধামাকা রয়েছে ফোনটিতে
তো প্রথমে শুরু করছি ফোনটা ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি থেকে,
গ্রেডিয়েন্ট টাইপের ডিজাইনের সাথে এর পিছনে থাকছে প্লাস্টিক ব্যাক কভার এবং পুরো ফোনটি প্লাস্টিকের তৈরি।
যেটা এই বাজেট অনুযায়ী দৌড়ায়
বলে আমি মনে করি ।
চারটি
ভিন্ন কালারে পাওয়া যাবে ফোনটি ব্ল্যাক ,
মিডনাইট সাইয়ান , পার্পেল , এবং ক্রিস্টাল স্কাই ।
এছাড়াও ফোনটিতে
ব্যবহার করা হয়েছে ৬.১ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি এইচডি প্লাস ডিসপ্লে, আর ফোনটিতে একদম ছোট একটা নচ ব্যবহার করেছে যেখানে ৮ মেগাপিক্সেলের
সেলফি ক্যামেরা রয়েছে ।
আর এই ডিসপ্লেটির চারপাশ ২.৫ডি কারফ তাই বলতে হয় খুব ভালো একটি ডিসপ্লে অফার করছে ওয়ালটন। ডিসপ্লের প্রোটেকশন হিসেবে কি ইউজ করেছে ওয়ালটন সেটা জানা যায়নি।
তাই অবশ্যই ব্যাক কভার এর পাশাপাশি ফোনটিটিতে একটি গ্লাস প্রোটেক্টর ইউজ করলে ভালো হবে।
ফোনটিতে প্রসেসর হিসেবে
মিডিয়াটেক হেলিও
a22 প্রসেসর
ইউজ
করা
হয়েছে,
প্রসেসরের ক্ষেত্রে বাজেট
অনুযায়ী
কোনো
কমপ্লেন
থাকছেনা
তেমন
হাইলেবেলের
কোন
পারফরম্যান্স
না
পাওয়া
গেলেও
রেগুলার
টাস্ক
রয়েছে
সেগুলো
খুবই
স্মুথলি
হ্যান্ডেল
করতে
পারবেন। কারণ ফোনটির মধ্যে আপনারা ৪ জিবি র্যাম এর সাপোর্ট পাচ্ছেন।
গেমিং এর ক্ষেত্রেও ফোনটি বেশ ভালই পারফর্ম করবে এর বাজেট অনুযায়ী , পাবজি মিডিয়াম গ্রাফিক্সে খেলতে পারবেন
ফ্রী ফায়ার স্মুথলি খেলতে পারবেন । সফটওয়্যার হিসেবে ফোনটির মধ্যে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ১০ যদিও ওয়ালটন বলছে তারা ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আপডেট সচল রাখবে । মানে ভবিষ্যতে অ্যান্ড্রয়েড ১১ পাবেন ফোনটিতে।
এবার আসি ক্যামেরা সেকশনে ক্যামেরা সেকশনে ওয়ালটন ব্যবহার করেছে একটি ১৩ মেগা পিক্সেলের সনি সেন্সর ক্যামেরা
এটা কিনা মেইন সেন্সর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, তার সঙ্গে ৫ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াইড এবং স্বল্প মাত্রার মানে ০.৩ মেগা পিক্সেলের ডেপথ সেন্সর থাকছে ফোনটির ব্যাক সাইটে । এই ক্যামেরা থেকে দিনের বেলা মোটামুটি লেভেলের ছবি তুলতে পারবেন বাজেট অনুযায়ী।
ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারবেন সর্বোচ্চ 1080p এ এবং ৩০ fps এ ।
ফোনটিতে আর ব্যাক সাইডে থাকছে একটি ফিজিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ।
ফোনটিতে ৪০০০ mah battery
ইউজ করা হয়েছে যেটা 5 watt স্পীডে চার্জ করা যাবে । ৫ ওয়াট চার্জিং মোটেও স্পিড নয়
তবুও এই বাজেটে ঠিক আছে । আর ফুল চার্জ হতে ২.৫ ঘন্টা - ৩.০ ঘন্টার
মত টাইম লাগবে ।
সব শেষে বলব যারা ৮০০০
টাকার মধ্যে ফোন কিনতে চান তারা নিঃসন্দেহে ফোনটি কিনতে পারেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন